প্রাণিদের জন্য খাদ্য সাহায্য
বরগুনা পৌরসভা এলাকায় (আবাসিক এলাকা বাদে) মোট আমরা ২২৫ টি কুকুর-বিড়ালের সন্ধান পেয়েছি। খাবারের জন্য এরা মূলত মানুষের উপর নির্ভরশীল। হোটেল-রেস্টুরেন্ট কিংবা সাধারন মানুষের কাছ থেকে এরা খাবার পেত। প্রতিদিন এতগুলো প্রানীর খাবারের ব্যবস্থা করা কোন একক সংগঠন বা ব্যক্তির দ্বারা সম্ভব নয়।
প্রানীগুলোকে দুর্যোগ কালীন ন্যুনতম এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এখানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা সম্পূর্ণ বরগুনা শহরকে ৪ টি জোনে ভাগ করেছি এবং কোন জোনে কতটি প্রাণি আছে সেগুলো আলাদা করেছি-
৪ টি জোনে মোট প্রাণির সংখ্যা ২২৫ টি। আমরা প্রতিদিন রাতে ওদের জন্য এক প্লেট করে খাবারের ব্যবস্থা করতে চাই। এক একটি এলাকায় কমপক্ষে কয়েক হাজার পরিবার বাস করে। এর মধ্যে প্রতিটি জোনে মাত্র ৬০ টি পরিবার/বাসা থেকে মাত্র ১ প্লেট করে এটো ভাত/ ঝুটাকাটা/ যদি কেউ ফ্রেস ভাত নিজের ঘরে রান্না করা তরকারি (মশলা ছাড়া সাধারণ তরকারি) দিয়ে মাখিয়ে দিলে আমরা সেগুলো বালতি ভরে সংগ্রহ করে এনে শহরের অলি গলি, ডাষ্টবিনের আশপাশ, বাস স্টান্ড গুলোতে থাকা কুকুর গুলোকে খাওয়াব।কেউ চাইলে এক প্লেটের বেশিও দিতে পারে। আর সপ্তাহে ১-২ দিন যে কেউ চাইলে পুষ্টিমানের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে। যিনি যিনি ১ প্লেট করে খাবার দিতে চান, ফোন করুন- 01779554775
প্রাণিদের জন্য কেউ নগদ অর্থ অনুদান দিতে চাইলে- ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বার- 01779554775
এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জোনে আমাদের ২-৩ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দরকার। আমাদের সেন্ট্রাল টিমের “হোপ মেসেঞ্জাররা” তাঁদের সব রকমের সহযোগিতা করবে। স্বেচ্ছাসেবক হতে চাইলে ফোন করুন- 01779554775
এছাড়া পাখিদের জন্য আমরা প্রতিটি গাছে হাড়ি বেধে সেখানে নিয়মিত চাল-ধান-মুড়ি ইত্যাদি দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
প্রকল্প যেভাবে বাস্তবায়িত হবে-
স্বপ্রণদিতভাবে এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবকরা এই প্রকল্পে প্রতিদিন রাত ৮-১০ টা পর্যন্ত কাজ করবে।
বিভিন্ন পরিবারের সাথে যোগাযোগ- নির্দিষ্ট জোনের স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের নিজ নিজ এলাকার পরিচিত স্বচ্ছল পরিবার কিংবা কারো রেফারেন্সের মাধ্যমে প্রাণিদের খাবারের প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করবে। যে সব পরিবার থেকে খাবার দিতে রাজি হবে, সেসব পরিবারের একটা লিস্ট করতে হবে। ফ্ল্যাট বাসাগুলোর পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য ওই ভবনের মালিকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
খাবার সংগ্রহ- প্রতিদিন রাত ৮ টার সময় প্রতিটি বাসার নির্দিস্ট বালতি/পাত্র থেকে আমাদের বড় বালতি/পাত্রে নিয়ে আসতে হবে। একাধিক তলার বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে নিচে প্রবেশদ্বারে আমাদের বালতি রাখা থাকবে যেখানে সবাই একসাথে খাবার দিতে পারে। প্রতিদিন আমরা নির্দিষ্ট সময়ে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করব।
প্রাণিগুলোকে খাবার প্রদান- আগে থেকেই সরবরাহ করা লিস্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট জায়গায় প্রানীগুলোর খাবার সরবরাহ করতে হবে। মনে রাখতে হবে- এক্সেখানে-সেখানে খাবার দেয়া যাবে না।
রিপোর্টিং- প্রতিদিন স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ শেষ খাবার বিতরণের ছবিগুলো সেন্ট্রাল টিমের মেসেঞ্জারে দিয়ে দিবেন। এই প্রজেক্টের আওয়তায় প্রাণিদের খাবারের কোন ছবি অনলাইন/সোশ্যাল মিডিয়ায় কপ্রকাশ করা হবে না।