Spread the love

ঈদুল আযহার মহিমায় উদ্ভাসিত হোক করোনাকালে মানুষের জীবন

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সংকটময় করোনাকালে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে । কাজ হারিয়ে, উপার্জন বন্ধ হয়ে এ এক করুণ অবস্থা।

স্থবির এ সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য সকল উৎসব আজ বিবর্ণ। পয়লা বৈশাখে লাল-সাদা পোশাক পড়া হয়নি। পান্তা-ইলিশ খাওয়া হয়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রাও রাজপথে নামে নি।

স্বাধীনতা দিবসে এবার আর কুচকাওয়াজ হয়নি। বাঙালির ঐতিহাসিক এ দিনে ঘরে বসেই বাংলাদেশের জন্য ভালোবাসা জানিয়েছে সবাই।

বাংলার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বর্ণিল ঈদ ছিল একেবারে সাদামাটা দিন। এবারের ঈদে মানুষের গায়ে নতুন জামা ওঠেনি। ঘরে ঘরে সেমাই- পায়েস রান্না হয় নি। পাড়া মহল্লার শিশুদের নতুন জামা পরে হৈ-হুল্লোড় চোখে পড়েনি এবার।

মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে উপার্জন কমে গিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারী সাহায্যের ওপর এখনও নির্ভর করে আছে অগণিত মানুষ।শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, প্রবীনেরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে, কিশোর-কিশোরীরা হাইজেনিক সমস্যায় ভুগছে। গরিব ও মধ্যবিত্ত শিশুদের পড়াশোনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

হোপ বরগুনা দেশের করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে গত ২৫ মার্চ থেকে একটানা মানুষের পাশে থেকে নানা ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা করে যাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিশীল স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হোপ বরগুনা ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫০০ পরিবার এবং ৮২০০ একক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে। যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা এখন প্রায় ৪৩ হাজারের কাছাকাছি।

পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তিদের পৃথক চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। লকডাউনের কারনে হঠাৎ কাজ হারানো পরিবারের আমরা চাল,আলু, ডাল,তেল,লবণ, সাবানসহ অন্যান্য জরুরি নিত্যপণ্য সরবরাহ করেছি। প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় নগদ অর্থের ব্যবস্থা করেছি। শিশু-গর্ভবতী-বৃদ্ধদের জন্য পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় রান্না করা খাবার, দুধ-ডিম-বিস্কুট দিয়েছি। কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছিল হাইজেনিক পণ্য সরবরাহ।

সাদামাটা ঈদুল ফিতরের উৎসবকে রঙিন করার চেষ্টা করেছি আমরা। ঈদের দিন আমরা শিশুদের জন্য চকলেট এবং অন্যান্য সকলের জন্য রান্না করা বিরিয়ানি নিয়ে দ্বারে দ্বারে পৌছে দিয়েছি আমরা। শিশু ও বৃদ্ধদের নতুন জামা-লুঙ্গি-শাড়ি দিয়েছি আমরা। ৫০০ পরিবারের সেমাই-চিনি বিতরণ করে কিছুটা খুশি আনার চেষ্টা করেছি।

মানুষ যে মানুষেরই জন্য- সেটা এই করোনাকালে প্রকাশ পেয়েছে। অনেক ব্যক্তি নিজেদের অবস্থান থেকে সাধ্যমত সহায়তা করেছেন। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ করোনায় বিপর্যস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরাও পাশে পেয়েছি এরকম কিছু ব্যক্তিবর্গের যারা আমাদের বিভিন্ন সময় অনুদান দিয়ে হোপ বরগুনার কাজকে গতিশীল রেখেছেন। এর পাশাপাশি মানসিক অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন। অসহায় মানুষদের প্রতিনিয়ত যাঁরা আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের আমরা সম্মানিত করি “আশার ফেরিওয়ালা” সংবোধন করে।

এর পাশাপাশি আছে আমাদের একদল অদম্য তরুণ। করোনাকালে তারা জীবন বাজি রেখে ছুটে গিয়েছে অসহায় মানুষের দোড়গোড়ায়। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও তারা সাহায্য নিয়ে পৌঁছে দিয়েছে করোনাকালে কাজ হারানো বেকার ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে।

আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আযহা আসছে।ঈদুল ফিতরের মত এই ঈদেও থাকছে না কোন উৎসব। মধ্যবিত্তরা এবার অনেকেই কুরবানি দিতে পারছেন না, কাজ হারিয়ে এই করোনাকালে দুমুঠো খেয়ে পরে থাকেই দায়।

আমরা এ সমস্ত পরিবারে একটি দিনের জন্য হলেও হাসি ফোঁটাতে চাই।

৫০০ মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারে পাঠানো হবে রান্না করা মাংস
৩০০ ছিন্নমূল মানুষকে দেয়া হবে রান্না করা খাবার
২০০ শিশুকে দেয়া হবে চকলেট ও বিরিয়ানি

হোপ বরগুনার এ মহতী উদ্যোগে অংশ নিতে পারেন আপনিও। আপনার পাঠানো অনুদানের অর্থ দিয়ে আমরা এগুলোর ব্যবস্থা করে পৌঁছে দিব করোনাকালে মানবেতর জীবন যাপন করা মধ্য ও নিম্নবিত্তসহ ১০০০ অসহায় মানুষের মাঝে।

অনুদান সরাসরি বিকাশ করতে পারেন- ব্যক্তিগত নাম্বার- 01779554775
বিদেশ থেকে প্রবাসীরা পেপ্যালে সাহায্য পাঠাতে পারেন। পেপ্যালে অনুদান পাঠাতে ডোনেশন বাটনে ক্লিক করুন-